রাজশাহীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডেকে নিয়ে এক নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই নার্স বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
ওই চিকিৎসকের নাম আহসান হাবীব (২৭)। তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁয়। তিনি রাজশাহীতেই থাকেন। ৯ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি ক্লিনিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। চিকিৎসক আহসান হাবীব প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করা নার্স অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদী ঢাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন। দুই বছর আগে আসামির (গ্রেপ্তার চিকিৎসক) সঙ্গে ফেসবুকে তাঁর পরিচয়। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে আসামি তাঁকে রাজশাহীতে আসার প্রস্তাব দেন। তাঁর প্রস্তাবে সম্মত হয়ে প্রায় ছয় মাস আগে বাদী রাজশাহীতে আসেন। ভাড়া বাসায় আসামির সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে প্রচলিত আইনে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দেন আহসান হাবীব।
এজাহার থেকে আরও জানা যায়, ৯ অক্টোবর রাত দেড়টায় আহসান হাবীব ক্লিনিকে নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে বাদীর সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। খোঁজ নিয়ে বাদী জানতে পারেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে আহসান হাবীব সংসার করছেন।
এ ঘটনায় ২৩ অক্টোবর নগরের রাজপাড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী নার্স। পরে গত রোববার দুপুরে ওই চিকিৎসককে তাঁর কর্মস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল আলিম জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নার্স রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর রোববার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে এদিন বিকেলেই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে আমাদের ক্লিনিকের নাম আছে বলে জেনেছি। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসক আহসান হাবীবকে ক্লিনিক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
